কবিরা এমন কেন?
----------জসীম উদ্দীন
আমি বুঝিনা কবিরা এমন হয় কেন!
সব কিচুতেই বাড়াবাড়ি করে,
ভাবনার পাখায় চড়ে ঢুকে পরে অন্যের ঘরে।
মনে মনে কাউকে সাজায় মানসী
কাব্যের রং তুলি দিয়ে কাউকে করে অপ্সরী,
কারো হৃদয়ের কথা নিজে বলে দিয়ে কবিত্ব ফলায়,
স্বপ্নহীন চোখ স্বপ্নের সৌধ এঁকে দিয়ে, যায় স্বপ্ন চূড়ায়।
কবিদের ভারসাম্যহীন মাুনুষ ভাবা হয়,
কারন তারা নদীকে নারী, আকাশকে হৃদয়, সাগরকে প্রেমের আধার ভেবে
প্রেমে প্রেমে দোল খায়।
কবিরা শিশির বিন্দুতে সারা পৃথিবী দেখে
বিকেলের ক্যানভাসে ভোরের সূর্য আঁকে।
কবিরা কখনো গোঁফ দাঁড়ীর আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে ভালবাসে,
আবার কখনো প্রসব বেদনায় কেঁদে, সৃষ্টির উল্লাসে হাসে।
কবিদের পদে পদে ভূল,
পা থেকে মাথার চুল।
আত্ম ভূলে পোষাকের এক ঘরের বোতাম অন্য ঘরে মারে
দু পায়ে দুরকমের চপ্পল ভূল করে পরে।
কবিদের আচরনে কত অস্বভাবিকতা !
কখনো চুপ চাপ, কখনো বেশি কথা।
কখনো গাছের সাথে কথা কয়,
কখনো উপলক্ষ ছাড়া হাসে,
মেঘকে হাওয়ায় জাহাজ ভেবে মেঘে মেঘে ভাসে।
তারা মাঝে মাঝে নিভৃতচারী,
নিরবে নিভৃতে বসে ভাবনার পাখা মেলে,
নিজের ভূবনে স্বপ্নের রাজপুত সেজে বিশ্বকে যায় ভূলে।
কবিদের জীবন ছন্নছাড়া
বৈষয়িক লাভালাভহীন অনর্থজীবন,
জগৎ সংসার, স্ত্রী পুত্র কন্যা, সব কিছু ভাসা ভাসা কবিত্বের মত ভাবে,
তাই কবিদের স্ত্রীর জীবন কাটে অভাবে অভাবে,
তবুও তারা কবিকে ভালবাসে, ভালবাসে তার সৃস্টিকে।
কবিদের চরিত্র বিচিত্র রহস্যের ঘেরাটোপে বাঁধা!
চারিদিক রহস্য রহস্যময় এক ধাঁধা,
কল্পনার স্বর্গরাজ্যে তাদের আবাস,
কল্পলোকের কবিত্বের মাঝে তাদের আজীবন বসবাস।