কবিতা~লজ্জা

 লজ্জা

স্বাধীন আচার্য।


তুমি যখন প্রথম রজঃশলা হলে,

  তখন তুমি স্রেফ ক্লাস সিক্সে পড়।

প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলে তুমি। 

তোমার সবচেয়ে বড় বন্ধু তোমার মা,

তুমি তার কাছে লুকিয়ে কান্না করলে,

"মা, ওমা জানো? 

আমার না একভয়ানক অসুখ হয়ে গেছে "

তোমার মা-

আলতো করে তোমার গাল টেনে,

চুলে বিলি কেটে, বলেছিলো।

" ধুর বোকা মেয়ে, এটা যে তোর সৌভাগ্য। 

তুই মেয়ে, তুই জন্ম দিবি,

এখন থেকে যে তুই প্রকৃতির পবিত্রতম 

 অংশ।

তোমার মন হঠাৎ ভালো হয়ে গেল।

আজ তুমি নবযৌবনা , 

তোমার মায়ের কথা আজও তোমার মনে আছে। 

কিন্তু,

তুমি এখন বিভ্রান্ত। 

তোমার শরীরের প্রতিটি বাঁকে এখন,

আধারে নীলছবি দেখা যুবকের নগ্ন লালসা। 

ঘড়ির কাঁটা-

এখন তোমার চরিত্র ঠিক করে।

এখন তোমার জোছনা দেখা নিষেধ, 

রাত জাগা নিষেধ।

হাতকাটা, জামা পড়া নিষেধ । 

এমনকি তোমার নিষেধ করাও নিষেধ।

অথচ, তুমি প্রকৃতির সুন্দরতম,শুদ্বতম অংশ। 

পবিত্রতা তো সীমাবদ্ধ হতে পারে না-

তবে, পবিত্র ঠিক কতটুকু পবিত্র?

তোমার মায়ের কথা গুলো

  এখন আর তোমার মন ভালো করে না।

তবে কি জন্ম দেয়ার পবিত্রতাটা,

 তোমার নষ্ট, নোংরা লজ্জা?

তবে,

 তুমি কি এখন স্রেফ লজ্জা পাও?

তোমার মা কি তবে মিথ্যাবাদী?


আচ্ছা,

 পবিত্রতা এতো কুৎসিত কেন?





Blogger দ্বারা পরিচালিত.