এক দিন
✍️Jakir
সকাল ৮ টায়
ফ্যানের সুইচ বন্ধ করিয়া বাবা কয়,
এখোনো কি সকাল হয়নি সাহেব?
উঠিয়া আমাকে উদ্ধার করোনা ছাই।
আঁটো-সাঁটো চোখে তাকাইয়া দেখি
মা বলে,এই অকর্মের ঢেঁকি
বাইরে গিয়ে কর না কোনো কাজ।
কিছুক্ষণ বকাবকির পরে........
উঠিয়া বিরক্তির স্বরে
বলিলাম, কোথায় আমার ব্রাশ?
মা রাগান্বিত হয়ে
আসিল খুন্তি ধেয়ে,
বলিল, 'খুঁজে নেনা তুই
বিরক্ত করিস না আর' ।
আমিও দিশেহারার মত
ফালতু খুঁজে চলেছি যত,
একটি দাঁতন কাটলেই তো হয় ।
চপ্পল দুখানা পায়ে
চলেছি রাস্তা বেয়ে,
পিছন থেকে এলো ডাক ।
কোথায় চললি রে তুই?
বেলা যে দশটা ছুঁই-ছুঁই
মনে কি আছে তোর?
একটু সংকোচ মনে,
তাকিয়ে আকাশের কোণে
বলিলাম,মনে আছে বৈকি।
ঠিক সময় হলে
মাঠে যাবো চলে,
নিজের কাজে রওনা দেনা তুই।
বাড়ি ফিরিয়া দেখি
চলছে আরো বকাবকি,
বাবা শুধু দিচ্ছে আমার দোষ।
এই যে বদমাইশ ছেলে,
সারাদিন আড্ডা দিলে
সংসার কি চলবে রোজ?
অকম্মাদের সঙ্গে মিশে
বাঁদর হলো শেষে,
পড়িয়ে এখন করছি বড় আফসোস।
আমিও মনে-মনে রেগে
বের হলাম দ্রুত বেগে ।
মা বলিলো,না খেয়ে যাচ্ছিস কোথায়?
রোজ রোজ ছেলেটার সাথে
যে কোনো অবস্থাতে
কেনো তুমি এমন করো?
কোনো কথায় কান না দিয়ে,
চলিলাম আপন মনে।
এসে পৌঁছালাম বন্ধুদের আস্তানায়।
আমাকে যেতে দেখে,
রবি সেখান থেকে
বলিলো,ব্যাটটা ঠিক করেছিস তো?
বেলা দুইটার সময়
রেডি হবি সবাই,
আর যেনো বলতে না হয় আমাকে।
কিছুটা নিচু স্বরে
বলিলাম হ্যাঁরে
কত টাকার এন্ট্রি ফি হলো?
পকেট যে আমার ফাঁকা,
রয়েছে মাত্র কুঁড়ি টাকা।
এতে আমায় খেলতে নিবি তো?
কিছুক্ষণ চিন্তা করে,
বলিলো ভাবিস নারে
আরে আমি আছি তো ।
খানিক্ষন ঘোরাঘুরির পরে
আসিলাম বাড়ি ফিরে,
এসে দেখি মা তো রেগে আগুন।
বলিলাম,কি হয়েছেগো মা?
বাবা কি কিছু বলেছে?
না আমার উপর রাগ করেছো তা?
মা মন খারাপ করে
বলিলো আমার ত্বরে,
এখন কি আসার সময় হলো তোর?
বেলা কতখানি হলো?
খেতে হবে না এখনো?
দিন দিন যে শুকিয়ে হচ্ছিস কাঠ।
আমি একটু হেসে
বলিলাম ভালোবেসে,
তোমার ছেলে বেঁচে থাকলেই তো হলো!
প্রতিদিন যা খায়
তাতেই ভয় পেয়ে যায়,
এর চাইতে আর বেশি সইবে না তো।
খাবারের থালা বেড়ে
মা বলিলো আমারে
ছাড় তোর মোটা মোটা কথা,,,,,,
কোনো কাজ করলেই তো হয়
ঘুরে বেড়াস শুধু অযাথা ।
-------------------