গল্প:একটা ভয়ঙ্কর রাত
writer:- md azijul
রাতে কে যেনো মাথায় অনেক আঘাত করছে
আমিও তাকে আঘাক করার জন্য একটা ঘুসি দিলাম
ওমাগো ওমাগো এখানে তো দেখি দেয়াল তার মানে আমি স্বপ্ন দেখছিলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার মাথা ব্যাথা ইশ
আমি:মা ও মা কোথায় তুমি?
মা:হ্যাঁ বল কি বলবি?
আমি:আমার মাথা এতো ব্যাথা কেন?
মা:আমি কি করে বলবো তুই ভালো জানিস।
রাতের ঘটনাটা মনে পড়ল কেউ আমার মাথায় আঘাত করেছে
এটা সত্য নাকি স্বপ্ন ছিলো?
এর জন্য ঠিক মতো ঘুমোতে পারি না এটা প্রততিদিনের ঘটনা।
একদিন দেখি আমি আমার রুমের ভিতরে উড়ে বেড়াচ্ছি মাথায় ফ্যানের আঘাত লাগলো কিন্তু কিছুই হলো না। ওমা এটা কি ভাবে সম্ভব? পরে দেখি আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি।
এগুলো স্বপ্ন নাকি বাস্তব কার কাছে বলবো?
একদিন মায়ের কাছে বললাম আর উত্তমমদ্যম কয়েকটা দিয়ে বলল এই সব বানানো কথা আমাকে বলবি না।
তাহলে বুঝতেই পারছেন প্রতিটা রাত আমার জন্য অভিসপ্ত।
সারাদিন স্কুলেই ছিলাম,, স্কুল থেকে বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে একটু পড়তে বসলাম।
সন্ধার পরে গ্রামের কয়েকটা ছেলে এসে বল্লো আজিজ চল আজ একটু যাত্রা দেখে আসি।
আমি:নারে আমার মাথা ব্যথা করছে যাবো না।
ওরা:আরে চল না,,
আমি:নারে বাসায় ফিরতে অনেক রাত হবে আর আমি রাতে ভয় পাই।
~ আরে আমরা তিনজন আছি কিসের ভয়?
আর কথা না বলে সার্টের নিচে একটা ট্রিসার্ট পরে চলে আসলাম যাত্রা দেখতে।
যাত্রা দেখে বাসায় যাবো ঘড়িতে দেখি ২টা বাজে
আমার তো ভয় লাগছে এতো রাতে হাঁটছি তাও আবার এতো গাছ পালা স্বশানের মতো রাস্থা।
ওরা তিজন সিগারেট ধরিয়ে বলল এবার কোনো ভয় নেই ভূত আগুন দেখে ভয়পায়।
ওদের কথা শুনে একটু ভয় দূর হলো। আর দাদা দাদির মুখেও শুনেছি আগুন দেখে ভূত ভয় পায়।
এমন সময় একটা লোক এসে বলল আমাকে কি তোমরা একটু আগুন দিবা?
আমি ওদের বারণ করার আগেই আগুন দিয়ে দিলো আর লোকটা চলে গেলো।
আমি ভয় পাই তাই পেছনে ছিলাম। আমি তখনি আরো ভয় পেয়ে গেলাম যখন পিঁছনের দিকে তাকিয়ে দেখি সেই লোকটা আর নেই।
ভয়ে আমার গায়ম শিউরে উঠলো কোথায় গেলো এত তাড়াতাড়ি সেই লোকটা?
ওদের কিছুই বললাম না যদি দৌউর দিয়ে আমাকে ফেলে চলে যায় সেই ভয়ে।
আমরা যতই বাড়ির দিকে এগোচ্ছি ততই আমাদের চার পাশটা অন্ধকার কুয়াশায় ভরে যাচ্ছে নিজের শরীরটা ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে না।
আমার ফোনে চার্জ না থাকার কারণে ফোন অফ হয়ে আছে টর্চ জ্বলানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।
সবার আগে কাদের ওর ফোনের টর্চের আলোতেই সবাই হাঁটছি এমন সময় দেখি সেই লোকটা আবার আমাদের কাছে এসে বলল যে একটু আগুন দেয়া যাবে?
আমি ভয়ে চুপ করে আছি,, এটা কি হচ্ছে?
সেই লোকটা আগুন নিয়ে চলে গেলো!
আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে আছি আশ্চর্য হলাম তখনি যখন দেখলাম পূর্বের নেয় সেই লোকটা আবার অদৃশ্য হয়ে গেলো।
ভয়ে আমার শরীরর ঘামতে লাগলো,, সামনে তাকিয়ে দেখি কাদের নেই তবে বাকি দুইজন সাগর আর আকাশ আছে
ওদের কে বললাম কাদের কৈরে ওরা কেহ কথা বলছে না
আমি ওদের গায়ে হাত দিয়ে বললাম কিরে কথা বলছিস না কেন?
ওরা চুমকে উঠে বলল কি বলিস?
ওদের গলার স্বর ভিষন ভারি যেনো অনেক বড় কোনো মানুষের কন্ঠ।
ওদের কন্ঠ শুনে আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম
ওদের শরীরে কি কোনো অশরীরির আত্মা ভর করেছে?
আমার মাথা ঘুড়তে লাগলো মনে হয় জ্ঞান হারাবো
এমন সময় ওরা দুজজন বলে উঠলো তুই এমন করছিস কেন?
ওদের কথা শুনে একটু ভালো লাগতে লাগলো আমার ভেতরে আত্মা ফিরে পেলাম।
আমি ওদের বললাম কাদের কৈ?
আমার কথা শুনে ওরা ও ঘাবরে গিয়ে বলল ওতো আমাদের সামনেই ছিলো।
আমরা তিনজন কাদের কে খোঁজতে লাগলাম এই অন্ধকার কুয়াশায় ঘেরা রাতে কোথার খোঁজবো?
ভালো করে খেয়াল করে দেখি এটা কোথায়
একধম অচেনা একটা জায়গা,,আমাদের সেই চেনা রাস্তার কোনো অস্তিস্বই নেই
বেশ ঘাবরে উঠলাম এ কোথায় আমরা এসেছি
আমি বললাম আমারা তিনজন হাত ধরে হাঁটি যাতে কেউ না হারিয়ে যায়।
আমি সাগর আর আকাশ হাত ধরে হাঁটার সময় কিশের যেনো একটা ধাক্কায় আমি পড়ে গেলো
ওদের কে বললাম দেখতো এটা কি?(পায়ের নিচে)
আমরা খেয়াল করে দেখি আমার পায়ের নিচে কাদের পরে আছে কিন্তু ওর মাথা ওর সাথে নাই এই দৃশ্য দেখে আমরা সবাই জ্ঞন হারানোর পথে।
না এখন জ্ঞান হারালে চলবে না ওদের কে বললাম যেমন করেই হোক এখান থেকে আমাদের পালাতে হবে আমরা তিনজন চোখ বন্ধকরে দিলাম দৌড় সামনে পিঁছনে কি আছে দেখার টাইম নাই।
তিনজন যখন হয়রান হয়ে পড়লাম দাড়িয়ে হাপাতে লাগলাম
এমন সময় দেখি আমরা একটা বড় গাছের নিচে যা কখনোই দেখি নাই।
খেয়াল করে দেখি গাছের সাথে একটা বড় তরবালি গেগে আছে
ভাবলাম কোনো ভূত সামনে আসলে কুপিয়ে মেরে ফেলবো তাই হাতে নিলাম
তার পরে ওদের বললাম চল এই জায়গাটাও আমাদের জন্য নিরাপদ নয়।
আমরা তিনজন রওনা দিলাম ওখান থেকে
কিন্তু সব কিছুই আমাদের কাছে লাগছে অচেনা।
সাগর বলল আমরা আলাদা আলাদা ভাবে পালাই তাতে কেউ একজন বাঁচতে পারবো না হলে সবাইকে মরতে হবে।
বলেই সবাই হাত ছেরে কে কোথায় গেলো কেও জানে না।
এসন সময় তাকিয়ে দেকি আমার সামনে নদী কোন জায়গা এটা কে জানে আমি যেই নদীতে নামতে যাবো তখনি টের পেলাম আমার পেঁছনে হয়তো কেউ আছে
তাকিয়ে দেখি আকাশ আমি দৌড়ে গিয়ে ওর হাতটা ধরে বললাম চল তাড়াতাড়ি আমাদের এক সাথেই থাকতে হবে নয়তো সমস্যা হতে পারে।
আকাশ যখন আমার হাত ধরলো কখন ওকে দেখে আমার ভেতরের আত্মা বাইরে আসা আসা ভাব
কারণ ওর হাতের নখ গুলো আকারে বড় রং কালো
চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ দিয়ে আলো বের হচ্ছে
আমার হাতের সেই বড় ছুরি দিয়ে কয়েকটা কোপ লাগিয়ে দিলাম সাথে সাথে ভেলকি দিয়ে রক্ত বের হতে লাগলো কি ব্যাপার ভূত বা কোনো অশরীরিকে কোপ দিলে তো রক্ত বের হবে না
তাহলে কি আমি আকাশকেই মেরে ফেল্লাম??
এমন সময় একটা কালো জাল এসে আমাদের উপর পড়ে আমি আরো ভয় পেয়ে যাই।
তার পরে জ্ঞন হারিয়ে ফেলি যখন জ্ঞান ফেরে তখন আমরা সেই রাস্থার উপরেই ছিলাম আর আমরা চারজনি ছিলাম কারো কিছুই হয়নি।
লক্ষ করে দেখি ফজরের আজান হচ্ছে এখন আর কোনো ভয় নেই আস্তে আস্তে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম
ঠিক মতো ঘুম হলো না ভাবছি কি ঘটেছিলো রাতে কোথায় ছিলাম?
ওরাও কি আমার সাথে ছিলো আর ওরা আমার সাথে থাকলে আকাশের কিছু হয়নি কেন?
ঘুম ভাজ্ঞার পরে সবাই এক জায়গা হয়ে সেই রাতে ঘটে যাওয়া কথা বলা বলি করছি।
আমি আকাশকে বললাম তোকে কি আমি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছিলাম না?
আকাশ স্পস্ট সব অস্বিকার করলো।
তাহলে রাতে কি এমন ভাবে কুপাইলাম নানা চিন্তা করছি,, আবার অন্য কাওকে তো না
যাইহোক এতো ভাবার দরকার নাই হয়তো ঐ জায়গাটা ভয়ঙ্ককর
ঐ জায়গাটা সম্পর্কে খুব কম জানি তাই একটা লোককে জিগাইলাম
সে বল্লো ঐ জায়গাটা হলো স্বশান হিন্দুরা মরলে সেখানে পুরানো হতো।আর সেখান থেকে তো কেউ বেঁচে ফিরা তো দূরের কথা কারো বডিও পাওয়া জায়নি, অনেকেই ওখান থেকে হারিয়ে গেছে।
লোকটার কথা শুনে এখন আবার আর এক চিন্তা মাথায় কাজ করছে সেই জালটা কি ছিলো যেটা আমাদের উপর পড়েছিলো?
সমাপ্ত
কিছু গল্পের শেষ খুজে পাওয়া জায় না,,
জীবনটা অতি ক্ষুদ্র তাই সব সময় ভালো কাজ করতে থাকো বাজে কোনো কাজ করবে না।
আর সব সময় আল্লাহকে ভয় করো দেখবেন জীবনের গতি পাল্টে জাবে।
আল্লাহ হাফেজ.......
জানি ভালো হয়নি তার পরেও বলছি পাঠকগন কেমন হয়েছে এই ছোট্ট গল্পটা????