ধর্ষিত বিবেক
এস,এম,মোতাহার হোসেন
দেখেছি মানুষ, দেখেছি মানবতা!
ব্যস্ত রাজধানীর ফুটপাতে,
সাহেবের বর্ণিল গাড়িতে
ছিন্নমূল পথশিশুর ক্ষুধিত হাত।
সাহেব!দশটি টাকা দাও মোরে
নিদারুণ ক্ষুধার দহন জ্বলছে উদরে,
সইছে না প্রাণে,অদৃশ্য দানবের নির্দয় আঘাত।
কালি ধুলি মাখা হাতের পরশে
শখের শীলতা হানি,
মানবতার গায়ে সজোরে আঘাত!
ধুলায় গড়াগড়ি যায়,
কোন দুঃখিনীর নয়নমনি?
কোথায় আজি জাতির বিবেক?
চেয়ে দেখো ঐ ধূলি মাঝে,
দারুণ ও করুণ ব্যথায় কাঁদে মানবতা
নির্লজ্জ সভ্যতার ঘৃণিত লাজে।
জীর্ণ, শীর্ণ দেহের হাহাকার ধ্বনি
মানবতার নির্মম খুন,
নিভে গেছে ক্ষুধিত প্রাণের ক্ষুধার আগুন
বেড়ে গেছে ঘৃণিত দহনি।
ওহে বাংলার কোকিল,ময়না,টিয়া
কারে শোনাবে সুমধুর গান?
সুরের আবেশে সদয় ভাসে
কিন্তু ব্যথিতের বেদনায়,
কাঁদেনা ওদের পাষাণ প্রাণ।
মানবতা বিরোধী সভা সেমিনার
বক্তার জোড়ালো প্রাঞ্জল বুলি
ওরাই করে মানবতাকে উলঙ্গ
হীন স্বার্থে রঙিন নেশায় দুলি।
শুভ্র বসনে সেজেছ সাধু,ওহে সভ্যপতি!
কাজের মেয়ে শিউলি গাত্রে বইছে
তোমাদের নৃসংশ্য নির্যাতনের স্মৃতি।
মানুষ হয়ে করলে মানুষরে অপমান
হয়ে একই মনুষ্য জাতি,
মানুষ আমরা সকলেই সমান
উঁচু নীচু নেই ব্যবধান,
শুধু ভাগ্যের নির্মম দুর্গতি।
ধর্ষিত আজি জাতির বিবেক
দেহ মনে সভ্যতার অসভ্য ক্ষত,
ললাটে তার কলঙ্কিত ঘৃণিত রেখা
এ যে, ভদ্রবেশী সভ্যতানাশীর নিজ হস্তে আঁকা।
ওরা মুক,বধির,অন্ধ ও নির্বোধ
বিবেকবোধ তাই ওদের হলোনা জাগ্রত।