বালিকার স্বপ্ন

                      বালিকার স্বপ্ন

                 সাবেরা সুলতানা সুমী


শেষ বিকেলের মন কেমন করা 

উদাসী বাতাসে বাতায়ন খুলে ,

সবেই পিঠের চুল সরিয়ে এলিয়ে দিয়েছে গা নীল চাদর চাদর জড়ানো বিছানায় ।


সপ্তদশী মেয়ের দুচোখ ভরা স্বপ্ন! 

নরম বিছানায় নকশী কাথাঁ মুড়ে

 কতইনা জাল বুনে ভালোবাসার !


কখনো ভাবে দুটো বিনুনি খুলে এলো খোঁপায় জড়াবো বেলীর মালা গুচ্ছ কিংবা 

শিউলির সাদায় সাজিয়ে নেবো কেশ।


দুটো গোলাপ? দোলন চাঁপা নাকি রজনী গন্ধা? ভেবেই আকুল অবুঝ বালিকা! 

টকটকে রক্তজবা ও চলবে? 

নয়তো এক থোকা লাল রঙ্গন অপূর্ব হবে তো !


দিশেহারা মেয়ে আকাশের বুকে মেঘ দিয়েই এঁকে নেয় কতইনা ছবি।


কাশবনে গিয়ে ভাবে দোদুল্যমান এই কাশফুল এতটাই সাদা কোথায় পেলো? 

আকাশের মেঘ ছুঁয়ে এনেছে কি তবে চেয়ে? 


আহ্হা রে অবুঝ বালিকা এতোটা অবুঝ হলে সাঁতরে কূলে যাবি কেমন করে ?

তোর বুকে যে ভালোবাসার বসতঘর আছে জানিস?

একদিন আসবে সে ঘাসফুল মাড়িয়ে 

চিনে নিবি তুই সেই অচেনাকেই।


আর ফুলে ফুলে বাসর সাজিয়ে যে আসবে , 

তাঁর হাতটা মুঠোয় ধরে রাখিস শক্ত করে ।


গোলাপের বাসর হবে তোর ভাবিস কেন মিছে? সে তো জানে তুই যে গোলাপের বাসর চেয়েছিলিস, 

একদিন বৃষ্টি ভেজা আকাশের কাছে ।


শরতের শুভ্রতায় মিশে ছিল নীলাকাশ

হৈমন্তীর আচমকা বৃষ্টির ধারায় ভিজিয়ে 

নেবে সে আলিঙ্গনে বেঁধে স্বপ্নের খেলা ঘরে।

সেদিন হবে বালিকার চোখের আয়নায় 

দেখা একটি ভালোবাসার নকশী আঁকা 

ছোট্ট কুঁড়ে ঘর।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.