গল্পের নামঃ,,,সুযোগ,,,
লেখক মোঃরাসেল বিন আবু তালেব
জিহাদ খুবই মেধাবী ছেলে।পড়াশুনোয় খুব ভালো।সে এখন ক্লাস নাইনে পড়াশুনা করে।সে খুব ভালো ক্রিকেট খেলতো।সে তার ইস্কুলের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলো।একদিন ইস্কুলের টিফিন পিরিয়ডে তারা মাঠে ক্রিকেট খেলছিলো বন্ধুদের সাথে।এমন সময় জিহাদ মাঠে ব্যাট করতেছিল।তার ব্যাট থেকে একটি ছক্কা হয়।বলটি উড়ে গিয়ে মাঠের এক পাশের রাস্তায় পরে।কিন্তুু রাস্তা দিয়ে তাদের ফাহিমা ম্যাডাম যাইতেছিল।বলটি ম্যাডামের মাথায় লাগে এবং ম্যাডাম বলের আঘাতে চিৎকার করে ওঠে।এরপর ম্যাডাম জিহাদের বিরুদ্ধে নালিশ দেন প্রধান শিক্ষকের কাছে।তখন জিহাদের বিরুদ্ধে শালিশের ব্যবস্থা করা হয়।শালিশের রায়ে জিহাদ কে অপরাধী প্রমান করা হয়।তখন জিহাদ কে তাদের ইস্কুল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।জিহাদ তখন তার ম্যাডামের পা ধরে ক্ষমা চায় এবং জিহাদ নিজেকে সুধরে নেবার জন্য একটা সুযোগ চায়।কিন্তুু জিহাদকে সেই সুযোগ দেওয়া হয় না এবং তাকে ইস্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়।এর কিছু দিন পর জিহাদ অন্য আরেকটি ইস্কুলে ভর্তি হয়।এভাবে তার এক সময় পড়াশুনার জীবন শেষ হয়ে যায় এবং সে একটা কলেজে শিক্ষক হিসাবে জোগদান করে।তো জিহাদের কলেজে শিক্ষক বনাম ছাত্রদের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়।শিক্ষকদের দলে জিহাদও খেলে এবং সে ব্যাটিংয়ে নামে।সে ভালোই ব্যাটিং করতেছিল।হঠাৎ একটা বল তিনি বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন এবং বলটি ছক্কা হয়।কিন্তুু দূর ভাগ্য বশত সেই বলটি তার এক ছাত্রের মাথায় গিয়ে লাগে এবং সেই ছাত্রটি সেখানেই ঙ্গান হারিয়ে মাঠে পড়ে যায়।তাকে অবশ্য একটু পর হাসপাতালে নেওয়া হয়।হাসপাতালে নেবার কিছু ক্ষন পর ছাত্র টি মারা যায়।তবে যে ছাত্র টি মারা যায়,সেই ছাত্র টি হলো জিহাদের ইস্কুল ম্যাডাম ফাহিমার ছেলে।
এরপর ফাহিমা ম্যাডাম খবর পেয়ে ছুটে চলে আসে এবং সে খুবই কান্নাকাটি করতে থাকে।ফাহিমা ম্যাডাম তখন জিহাদ কে বলে তোমাকে আমি সেই ছোট বেলায় আমাকে বল লাগানোর জন্য ক্ষমা করি নাই এবং তোমাকে ইস্কুলে পড়ার সুযোগ দেই নাই বলে তুমি আজ আমার ছেলেটাকে মেরে ফেললে।জিহাদ তখন কেদে কেদে বলতেছিলো, ম্যাডাম আমি ইচ্ছা করে এইসব করি নাই।আমি কোনো প্রতিশোধ নিতে চাই নাই।এসব বলতে বলতে জিহাদ কাঁদতে লাগলো।