ভোগান্তি ছোটগল্প

         ** ভোগান্তি **


*****ছোটগল্প****


     **** জয়ত্রী রপ্তান ****


আমাদের জীবন,আমাদের মন হাজারো প্রাপ্তির আশায়

পরিপূর্ণ থাকে।যখন সেই আশা পূর্ণ হয় না,তখন কষ্টে অধির হয় হৃদয়,দুচোখ হয় অশ্রুশিক্ত।অশান্তির উর্দ্ধশ্বাস উঠে জীবনে।মধ্যবিত্ত পরিবারের সহজ সরল শান্ত স্বভাবের ছেলে অজয়।অষ্টম শ্রেণি পাশ করে নবম

শ্রেণিতে ভর্তি হবে অজয়,কিন্তু বাবা- মায়ের দ্বিমতের দ্বন্দ্বে অজয় নিরাশ হয়ে যায়।অজয়ের বাবা চায় ছেলে

ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পড়বে,যাতে ছেলে বড় হয়ে বাঙ্গুরা বাজারে দোকান দিয়ে কোটিপতি হতে পারে,আর অজয়ের মা চায় ছেলে বিজ্ঞান শাখায় পড়বে,যাতে বড় হয়ে ডাক্তার হতে পারে।অবশ্য আরো কারণ আছে,অজয়ের মায়ের বান্ধবীর মেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছে,তো বান্ধবীর মেয়ে বিজ্ঞান পড়তে পারলে

আমার ছেলে কেন পারবে না,তাছাড়া গ্রামের অমুক-তমুক বিজ্ঞান পড়ছে,তাহলে আমার ছেলে কেন নয়?এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রী বিস্তর কথা কাটাকাটি, এক পর্যায়ে ঝগড়ায় পৌঁছায়।অবশেষে অজয়ের মা জয়ী হয়।বর্তমানে নারী নেতৃত্ব বলে কথা।ছেলেকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করাতে পেরে,বেশ গর্বিত মায়ের ভুমিকায়

ঘুরে বেড়ান।সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে থাকেন

আমার ছেলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করবে।কিন্তু অজয়ের বাবা-মা অজয়কে একবারও জিজ্ঞাসা করেনি যে,অজয় কোন শাখায় পড়তে চায়।অধিকাংশ বাবা-মা

নিজের ইচ্ছে গুলো সন্তানের উপর চাপিয়ে দেন।

 সন্তানের কতটুকু গ্রহন ক্ষমতা আছে সেটা যাচাই ও

করেন না।এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্তানের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে।বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করা, অধিকাংশ শিক্ষার্থী বই সম্পর্কে তেমন ধারনা থাকে না।

অথচ তারা ভালো গ্রেট নিয়ে পাশ করে।সরকারের ১০০% পাশের চাহিদা পূরণ করতে যেয়ে নকলের মহা উৎসব শুরু করতে হয়, কারণ চাকরি তো টেকাতে হবে।তাছাড়া প্রতিযোগিতা চলে অন্য স্কুল থেকে কত বেশি পাশ করানো যায়।এমনি ভাবে শিক্ষার্থীর কোমল

হৃদয়ে নকলের প্রবনতা তৈরি হয়ে যায়।....চলবে

Blogger দ্বারা পরিচালিত.