হলো না মিলন

 কবিতার নামঃ,,,হলো না মিলন,,,


লেখক মোঃরাসেল বিন আবু তালেব 


এক গ্রামে ছিলো একটা মেয়ে এবং একটা ছেলে।।

ছেলেটির নাম রাজু,, সে খুব সাহসী ছেলে।।


মেয়েটির নাম ছিলো লাবন্য।।

রূপবতী,গুণবতী, তার মনটা ছিলো খুবই লাবন্য।।


রাজু এবং লাবন্য দুজন দুজনকেই খুবই ভালোবাসতো।।

তারা একে অপরকে ভালো ভাবেই বুঝতো।।


রাজুর বাবা ছিলো স্কুল মাস্টার।।

রাজুর বারার নাম ছিলো জব্বার।।


রাজুদের অনেক সম্পত্তি  এবং টাকা করি ছিলো।

তবে রাজুর বাবার মনে একটু অহংকার ছিলো।।


লাবন্যর বাবা ছিলো রিক্সা চালক।।

লাবন্যর বাবার নাম ছিলো মালেক।।


লাবন্যর বাবার তেমন সম্পদ এবং টাকা করি ছিলো না।।

লাবন্যর বাবা অহংকার করতো না।।


একদিন রাজু এবং লাবন্য বটতলায় বসে গল্প করছিলো।।

এমন সময় রাজুর বাবা তাদের কে দেখে ফেললো।।


রাজুর বাবা লাবণ্যর পরিবার সম্পর্কে  খোজ খবর নিলো।।

খবর নিয়ে জানতে পারলো লাবন্যর বাবা একজন রিক্সা চালক ছিলো।।


জব্বার মাস্টার তার ছেলে রাজুকে বললো তুমি কি লাবণ্য নামের মেয়ের সাথে প্রোম করো?

তখন রাজু বললো বাবা আমি লাবন্যকে ভালোবাসি এবং  আমাদের বিয়ে দেবার ব্যবস্তা করো।।


জব্বার মিয়া বললো লাবন্যর বাবা তো রিক্সা চালায়।।

একজন রিকশা চালকের মেয়ের জামাই হিসাবে তোরে  কেমনে মানায়?


 তোদের সম্পর্ক কে আমি মানতে পারো না।।

তোকে আমি লাবন্যর সাথে বিয়ে দিবো না।।


রাজু তখন লাবণ্যর সাথে দেখা করলো।।

রাজু লাবন্য কে সব কিছু খুলে বললো।।


লাবণ্য তখন রাজুকে বললো চলো আমরা পালিয়ে বিয়ে করি।

রাজু বললো পালিয়ে বিয়ে না করি।।


লাবণ্য তখন বললো তাহলে কি আমাদের মিলন হবে না?

রাজু বললো মিলন হবে কি হবে না তা তো আমি জানি না।।


রাজু খুবই কষ্ট চেপে লাবণ্য কে বললো তোমার সাথে আমার আর থাকা সম্ভব না।।

আমি বাবার কথার বিরুদ্ধে গিয়ে তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না।।


রাজুর কথা শুনে লাবণ্য প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেলো।।

এরপর সে এক দৌড়ে বাড়িতে চলে গেলো।।


এর ঠিক তিনদিন পর রাজু তার বাবার কথা মতো বিয়ে করে ফেললো।।

রাজুর বিয়ের কথা লাবণ্য জানতে পারলো।।


লাবন্য রাজুর বিয়ের কথা শুনে খুবই কষ্ট পেলো।।

রাজুর বিয়ের কয়েক দিন পর লাবণ্যও তার বাবার পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে করে ফেললো।।


এভাবে কেটে গেলো চার টা বছর।।

রাজু  একটা ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছে এবং তার নাম রেখে আকবর।।


এদিকে লাবন্যও একটা মেয়ে সন্তানের মা হয়েছে এবং মেয়েটির নাম রেখেছে আদিবা।।

কিন্তুু কষ্টের বিষয় হলো লাবন্যর মেয়েটি বোবা।।


তো হঠাৎ একদিন রাজুর সাথে লাবন্যর দেখা হয়।।

তারা শুধু একজন আরেক জনের দিকে তাকিয়ে আছে এবং তাদের দুজনের চোখে কষ্টের জল গড়াতে দেখা যায়।।


লবন্য তখন রাজু কে বললো তুমি আছো কেমন?

আছি কোনো রকমে ভালো  এবং রাজু লাবন্য কে বললো তোমার মেয়ে আছে কেমন?


হুম, আদিবা ভালো আছে।।

লাবণ্য রাজুকে বললো, তোমার ছেলে কেমন আছে?


হুম আমার ছেলে আছে ভালো।।

রাজু তখন লাবন্য কে বললো,,হুম সবি ঠিক ঠাক আছে কিন্তুু ভাগ্য টা শুধু তোমাকে আমার কাছ থেকে কেরে নিলো।।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.