এই পুরোনো মানুষটার প্রতি এখন আপনার বিরক্ত এসে গেছে,তার যত্ন, সময়ে- অসময়ে ফোন করে খোঁজ নেওয়া-
খেয়েছো কি না?
সাবধানে রাস্তা পার হয়ো
কখন ফিরবে?
চলো কোথাও এক সাথে হাতে হাত রেখে আজকে বিকেলে হেঁটে আসি-
এসব আর আপনার ভালো লাগছে না। সেই প্রথম বেলাকার মত এসবে আর আগ্রহ নেই। ক্যামন জানি ন্যাকামো লাগছে এখন। ঠিক পোষাচ্ছে না।
এখন যত কৌশল, যত চেষ্টা এই মানুষটাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। তার থেকে মুক্তি পাওয়া। ঘ্যানঘ্যান-প্যানপ্যান থেকে দূরে থাকা। ঠিক যেন গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেছে বের করে ফেললেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচা।
কিন্তু একবার ও কি ভেবে দেখেছেন?
যাকে এত কৌশলে আপনার থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন -
এই তুমি আর ফোন দিবা না,
আর যেন একটা মেসেজ ও তোমার নম্বর থেকে না আসে নেক্সট টাইম,
এত বেহায়াও হয় মানুষ-
এসব কথার ছুরি চালিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছেন নিমিষেই। প্রয়োজনে বাবা-মা তুলে গালি দিতেও ছাড় দিচ্ছেন না।
ব্লাক-লিষ্ট,ব্লক-লিষ্ট যার জন্য উত্তম জায়গা বলে বিবেচনা করেছেন।
সেই মানুষটা আপনার জন্য চারপাশের কত আপন মানুষ-শুভাকাঙ্ক্ষির বিপক্ষে গিয়ে আপনাকে ভালোবেসেছে?
পরিবারে আপনার কথা কত গর্ব করে বলেছে?
অথচ দিন শেষে তাকে দূরত্ব,দুর্ব্যবহার, অপমান,ঘৃণা, অস্বীকার এই শ্রেষ্ঠ উপহারগুলো দিলেন। নিজের শুধু নিজের ভালো থাকার কথা ভেবে। দগদগে ক্ষতের উপরে পরিবার-পরিস্থিতির অজুহাত দিলেন প্রলেপ।
যতটা কৌশলে এই মানুষটাকে দূরে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন ঠিক ততটাই সময় নিয়ে নিজেকে শুধরে নিন। প্রিয় মানুষ একজনই হয়, আর শুধু সেই আপনার ভালো মন্দ সবটা জেনেই আপনাকে ভালোবাসে কারন প্রকৃত ভালোবাসার সম্পর্কটা হয় আত্মার সাথে আত্মার।
আপনার এত অবহেলা-অনিহা-অস্বীকার সহ্য করেও যে আপনাকে আঁকড়ে বাঁচতে চায় সে যদি একবার হারিয়ে যায় হাজার জনম খুঁজেও তার মত দ্বিতীয় কাউকে পাবেন না।
সম্পর্ক
-স্বপন কুমার