তোমার হিংসে হয় না?
-মোঃ সুজন আলী
যে চোখে তোমার কাজল পরানোর কথা ছিল!
আঁখিপাতে ছুঁয়ে দেওয়ার কথা ছিল!
ফুঁ দিয়ে চোখ জোড়াকে ঘুম পাড়ানোর কথা ছিল!
সে চোখ অন্যজন ছুঁয়ে দেবে; আলতো ছোঁয়ায়!
নিয়ম করে কাজল পরিয়ে দেবে!
ভাবতেই তোমার হিংসে হয় নাহ্?
হৃদয়টা কেমন চিনচিন করে নাহ্?
হিংসে করেও তো ফিরে আসতে পার ; একবার!
তাইনা?
যার সাথে তোমার রিকশায় বসে শহর দেখার কথা ছিল ; গভীর নিশিতে!
ছাদের কোণায় বসে জোস্না পোহানোর কথা ছিল ;
হাতে হাত রেখে! কোলে মাথা রেখে!
কবিতা পড়ার কথা ছিল ; চোখে চোখ রেখে!
তার সাথে অন্য কেউ জোস্না পোহাবে!
রোমান্টিকতায় কপোল ছুঁয়ে দেবে!
ভাবতেই তোমার হিংসে হয় নাহ্?
একটা হতাশার দীর্ঘশ্বাস আসে নাহ্, কখনো?
হিংসে করেও তো ফিরে আসতে পার ; একবার!
তাইনা?
যে চুলের সুবাসে তুমি মাতাল হতে চেয়েছিলে!
বিনুনি গেঁথে দিতে চেয়েছিলে ; রোজ সকালে!
যে খোঁপায় কদম পরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল; বর্ষায়!
যে হাতে গোলাপ ধরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল; বসন্তে!
নাকটাকে ছুঁয়ে দেওয়ার কথা ছিল; আঙ্গুলের টোকায়!
সেগুলোতে অন্য কারুর আধিপত্য বিরাজ করেবে!
নিয়মমাফিক পালন করবে!
ভাবতেই তোমার হিংসে হয় নাহ্?
অসহ্য লাগে নাহ্ ; মনে?
একবার, হিংসা করেও তো ফিরে আসতে পার!
তাইনা?
যার প্রেমে আকাশ হতে চেয়েছিলে!
শরীরে নীল শাড়ি, কপালে লাল টিপ পরাতে চেয়েছিলে!
প্রেমের নেশায় মত্ত হয়ে-
কাঁচের চুড়িগুলোকে ভাঙতে চেয়েছিলে মরমর করে!
সেখানে অন্য কারুর দখল চলবে!
আর তোমার কানে বাঁজবে-মরমর শব্দ!
ভাবতেই তোমার হিংসে হয় নাহ্?
খারাপ লাগে নাহ্, কখনো?
হিংসে করেও তো ফিরে আসতে পার ; একটিবার!
তাইনা?
নাকি, কখনো ভালোই বাসনি আমায়?
একটুও নাহ্?