কবি তুমি ধর্ষক
পূজা দত্ত
নির্মাণ কারুকাজে তুমি কতটা নিপুণ
তোমার এক কবিতায় শত নারীর প্রতিচ্ছবি
অথচ আমায় বসন্ত বিলাপে বলো
তোমার কবিতায় ফুটে ওঠে একমাত্র আমার ছবি
বিপ্লবী হয়ে আমার প্রেমিক হবে এ আশা করি নি
তবে আজ কাকে নিয়ে গল্প শোনাও?
তোমার পাওয়া সব দীর্ঘশ্বাস আর অবিশ্বাস!
এখনও সিগারেটের ধোঁয়া আর নেশাগ্রস্তায় অপর প্রান্তের মানুষটাকে পোড়াও
নেশাতুর চোখে আজও কি সে অব্যক্ত কবিতা তুমি তোমার নতুন প্রেমিকাকে শোনাও?
তুমি কি অদ্ভুত বিচারক
কতটা অসম্ভব তোমার সমমোহন শক্তি
অসুখের নামটা একই আছে প্রতিষেধকটা তোমার ভিন্ন
তুমি তো রাখো নি কোন চিহ্ন
অথচ না হওয়া সংসার
অযথা কথার সংঘর্ষ
মিথ্যা আবেগ আর অপেক্ষার শতবর্ষ
যাক গে সে সব ...
তুমি যে দুঃশ্চরিত্র এ কথা বলতে আমার রুচিতে বাঁধে!
সন্ধ্যা হলে গড়ের মাঠে এখানো যাও?
তবে আবার যদি ফিরতে চাও
একটা ডাকবাক্সে সব পুরোনো চিঠি পাঠাও
জানো আদালতে মান হানির বিচার হয়
চোরের বিচার হয়
ধর্ষকেরও বিচার হয়
কিন্তু যে মনস্তাত্ত্বিক ধর্ষক তার কোনো বিচার না হয়
প্রতিটি রাত একটা না হওয়া সংসারের গল্প
কি আশ্চর্য অথচ যে শিশুটি আমাদের গল্পের তাৎপর্য ছিলো!
সে এখন ছন্নছাড়া
জানা হয় নি তার অব্যক্ত অনুভূতি গুলো
তুমি কবি যেমন ধর্ষকও বটে
দেশে দেশে তোমার কাব্যের কত সুনাম ঘটে।
অথচ আমার এ হৃদয়ে তোমার নামের হাহাকার রটে।
তবে এটাও বুঝি বিপ্লবের চেয়ে কম কিছু নয়!
এভাবেও ভালোবাসা হয়?