একটি চিঠির অপেক্ষায়
নাইমুল ইস
প্রিয়তমা,
গোখরার নাম শুনছো নিশ্চয়ই
কতো সুন্দর গুণগত মানে
ছোবলের বিষটা কতো মিষ্টি
দংশীত ব্যক্তিই ভালো জানে।
প্রাণঢালা শুভেচ্ছা/ভালোবাসা
কোনোটিই দিতে পারলাম না
তবে তোমাকে দিলাম
পাহাড় সম সহস্র ঘৃণা।
তোমার কি মনে আছে,
দু ভাঁজ করা নীলচে খামে
ভিতরের লেখনী আঁকাবাঁকা
রক্ত রঙে সাজানো ছিল
ভালোবাসার গোলাপ আঁকা।
আছে কি মনে,
ভাসে কি চোখের কোণে
আজ শ্রাবণের ১ম দিন
একটি চিঠি দেওয়ার কথা ছিল
এইতো এই দিন।
তবে কেন চিঠি নেই হাতে
কোন তামাকের হুক্কা সাথে?
তুমি কেন আজ নিরব,নিরথর
বেরি অহংকার আর হিংসায়
তুমি তো আমাতেই আছো
আছো প্রতিটি বন্দনায়।
আমি যে তোমাকে,তিক্ষ্ণ নয়নে
দেখি নব কৃষ্ণচূড়া ফুলে
আম্রকাননের মুকুলে
মায়া নদীর দু- কূলে।
তবে কি তুমি দেখনি
আমার নিস্তব্ধ চাহনি
শুনতে পাও নি এই মিনতি
আমার কন্ঠে তোমার গীতি ।
তুমি তো মধু সুরে
কানে কানে বলতে পারো
চিঠিটা হাড়িয়েছে
নিয়তির নির্মম ঝড়ে
অথবা
দেবে না এবারো ।
কতোদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছি
আবেগের অপেক্ষা হেলায়
আর কতো থাকবো অপেক্ষায়
বসন্ত পেরিয়ে গেছে
বর্ষা, চৈত্রের বেলায়।
মন কি মানে ??
তবুও অপেক্ষা নিশি দিন
ভুল পিয়নে তোমার চিঠি
হয়তো হয়েছে মলিন
এই ভেবে প্রতিদিন
ফুসফুসের ভিতরে জমেছে
হাজার হাজার নিকোটিন।
অসহ্য কিছু ব্যাথ্যা নিয়ে
দিন তবুও হেসেই যায়
আমি কিছু জন্ম কাটিয়ে দেব
শুধু একটি চিঠির অপেক্ষায় ।