শুভ্র ভুষন

        শুভ্র ভুষন

        রুদ্র বণিক 


বার বেলায় মেলেছিল তারা

শুভ্র-ধবল কাপড়ের পড়ন।

স্যাঁতসেঁতে আদ্র ভেজা 

ঠাঁই পড়ে ছিল আদরের ভুষন। 

রবি আসিয়া যতনে 

করিল তাতে জলের নিষ্কাশন। 

আদ্র বস্ত্র শুকাইয়া গিয়া 

জৌলুসে ছড়াল তার সংস্করন। 

হঠাৎ বাতাস আসিয়া 

উড়াইয়া নিয়া গেল তাই। 

ছন্নছাড়া বায়ু  ভুষন উড়াইবে 

সমাজের কল্পনাতেও নাই। 

কোন দিকে বায়ু বয়,

আর কোন দিকে মনুষ্য খুঁজে তাই?

বায়ু তো নিজেও জানে না 

তার বহনের দিকের কোনো ঠিক নাই। 

স্বতসিদ্ধ মানুষের ভবিষ্যত 

এভাবেই তৈরী করতে চায় । 

কে কিভাবে সফল হবে কে জানে

কারোও বহনের যে স্থিরতাই নাই।

বায়ু হল দূর্বার, আবিরাম দুরন্ত 

ত্যাগিলাম বসনের আশা সে যে এখন উড়ন্ত। 

কে পারে বলতে কবে হবে তার অন্ত,

সুসময়ে মেলিয়া, সুসময়ে তুলিলে

কাউকে হইতৈ হত এত অবিশ্রান্ত?

Blogger দ্বারা পরিচালিত.