ঘর জুড়ে আবছা আলো-ছায়া
কেমন যেন অদ্ভুত এক মায়া!
জানালার পাল্লাটা দিলাম খুলে
সাথে দরজার পর্দাটাও তুলে,
সারাঘর আলোতো উঠলো জ্বলে
আলস্যে একাকিত্ব আমায় যায় বলে,
ঝিমিয়ো না অবেলায় কান দু'টো মলে
তাই বসে থাকি আমি বই নিয়ে কোলে।
একটা চড়ুই এসে গ্রিলে বসলো ভুলে
আবার ফুড়ুৎ করেই উড়ে গেল চলে,
বাহিরে প্রচণ্ড রোদের তপ্ততায় পুড়ে
কতগুলো পাখি যাচ্ছে ফিরে নীড়ে।
ইচ্ছেগুলোও যাচ্ছে উড়ে উড়ে
কোনো এক পরীর কাঁধে চড়ে,
শুধু আছি আমি একলা ঘরটা জুড়ে
একরাশ স্বপ্ন নিয়ে মরছি কুড়ে কুড়ে।
জানালায় নামে আমার উদাস দুপুর
ক্লান্ত চোখে ডাকছে দু'টো কুকুর,
সময়ের কাঁটা আজ হিসেবে ভরপুর
ভেসে যাক নাহয় স্মৃতিরা হয়ে কর্পূর
পাখা মেলে দিয়ে নাচুক এক ময়ূর,
বৃষ্টি নামুক পায়ে দিয়ে মেঘের নূপুর
মনে পড়ে ছোট্ট বেলায় পায়ে পরে ঘুঙুর
বলতে থাকা ছড়া "বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর।"
ঘরটা ইচ্ছে করেই অন্ধকার করে দিয়ে
অলসতায় পড়লাম এবার একটু শুয়ে,
তবুও চোখের ক্লান্তিতে যায় রয়ে
ঘরটা একটা আস্ত রূপকথা হয়ে।
ভেসে আসে একটা দুপুরের প্রতিধ্বনি
কারা যেন বসে বসে করছে কানাকানি,
অদ্ভুত সেই দুপুরটা যেন দিচ্ছে হাতছানি
ছড়িয়ে যাচ্ছে চারদিকে মায়ায় ভরা বাণী
মনযোগ দিয়ে সেসব আমি শুনি বা না শুনি
চোখ বুজে প্রহরগুলো শুধুই আমি গুনি
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো নতুন করে বুনি।
"অলস দুপুর"
©জান্নাতুল ফেরদৌস