শিরোনাম ঃ যখন প্রেম নিষিদ্ধ
কলমে ঃ তৃপ্তি রায় তপু
তোমাকে চাই; ভীষণভাবে চাই
একথা কিশোর -কিশোরী, কিংবা তরুণ -তরুনীরা
বলে ফেলতে পারে নিঃসংকোচে।
এ বয়সে চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরানো যায়,
অনশন করা যায়; ভেঙে ফেলানো যায়
ঘরের আসবাবপত্র, তৈজসপত্র আরো
দামি সব জিনিস পত্র।
পালিয়ে যাওয়া যায় প্রিয়জনের হাত ধরে,
অসহনীয় যন্ত্রণায় আত্মহত্যা ও করা যায়,
যদিও আত্মহত্যা মহাপাপ।
এ বয়সে আচরণে উন্মত্ততা আর কর্মে
উদাসিনতা ও দেখানো যায়।
সমাজ এগুলোকে আজকাল হজম করতে শিখেছে।
কিন্তু মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবয়সী এদের কোন
বাসনা বা চাহিদা থাকতে নেই।
প্রথম যৌবনে ডাকা কোকিল সেও ডাকে
অচেনা সুরে।
বদলে যায় তার ভাব প্রকাশের ভঙ্গি।
ভাটা নেমে আসে ভালোবাসার নদীতে।
হারিয়ে যায় রোমান্টিকতা,
প্রিয়জন হয়েযায় শুধুই প্রয়োজন।
রান্নাবাটি খেলা, সন্তান জন্মদান, তাদের লালন -পালন,
পরিজনবর্গের সেবা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
কর্তব্যের বেড়াজালে ভিতরের আমিটা
বড় অভিমানী হয়ে পড়ে; মরার উপক্রম হয়।
এ বয়সে অবাধ্য হতে নেই, সমাজ মেনে নেবে?
থুথু ছুড়বে এ হেন লোকের গালে।
বলেছিনা মধ্য বয়স্কদের ক্ষুধা থাকতে নেই
হোক সেটা দেহ বা মনের?