কবিতা - কলঙ্কিত দীর্ঘশ্বাস

 কলঙ্কিত দীর্ঘশ্বাস 

****************

আমি ঈর্ষায় জ্বলে উঠে জ্বেলে দিই দাবানল 

আমি মরণের ধরনে বিচলিত নই দুরন্ত চঞ্চল! 

আমি কুর্নিশ ভুলেছি করেছি নিজেরে বেহায়া 

আমি লজ্জায় মৃয়মান খেয়েছি নিজের হায়া!

 

আমি দেখি কেদারায় বসে ঠোঁটে ঠোঁটে চাটুকার 

আমি মঞ্চে সঞ্চালনে তেলবাজিরে বলি খবরদার ! 

আমি সমাজের জেল ভেঙে অলিখিত জেলিদের 

আমি শোষণের ঠুলি খুলে জেলে যেতে চাই ফের!


আমি আমার আহারে ভাগ দিতে দিতে নিস্তেজ 

আমি গোখরারে ভুলে খিঁচে দিতে চায় তার লেজ!

আমি নষ্টের নষ্টামি নষ্ট সেজে লাথিতে ভাঙ্গি দাঁত 

আমি কর এর ভরে কুঁজো হই ; পেটে নেই ভাত!


আমি উঁচু তালার উঁচুদের চাটি মারি সব ভুলে

আমি ভুখাদের দেখাতে ছিঁড়ে নিই চুল তুলে! 

আমি অশ্রুর নদী হয়ে খেকোদের জান নিব চুবিয়ে 

আমি মহাত্রাশ ক্ষমতারে ছুঁড়ে দেব গঙ্গায় ডুবিয়ে!


আমি আছি হাত দাও তোরা তুমি সে আর কেউ

আমি নিশ্চিত বেঁধে দেব ক্ষমতার স্রোতময়ী ঢেউ! 

আমি কাঙ্খিত স্বাধীন বায়ু মুক্ত হাওয়ায় চাই শ্বাস

আমি মানচিত্রের বুকে চাইনি কলঙ্কিত দীর্ঘশ্বাস!

Blogger দ্বারা পরিচালিত.