কবিতা - বিশ্বাসী হাত

                                 বিশ্বাসী হাত

--------------

তুমি বিশ্বাস ছুঁড়ে আঘাত করতে জান নাকো

তুমি জানো নাকো বিনাসুতোর বাঁধনে বেঁধে দিতে

তুমি এলোমেলো স্বপ্নের আলো ছড়াতে পারনাকো

তুমি শুধুই অবয়বে শ্রীময় ইন্দ্রজালের ছায়া।


তুমি কবরীর গাঁথা মুক্তোর রূপ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে 

তুমি ময়ূরীর নৃত্যে নন্দিত পায়ে হেঁটে - হেঁটে 

তুমি তিমিরের সুখে গহীন স্রোতে ছুটে - ছুটে 

তুমি আকাশের চিল হয়ে স্থির ডানায় উড়ে -উড়ে

তুমি শুধুই দৃশ্যমান দৃশ্য হয়ে গড়ে তুলো মায়া।


তুমি পথের বাঁকে এলোকেশী হয়ে হও ছায়ারাগ 

তুমি জানালার গ্রীলে ফুলদানি হয়ে হও চিররঙিন 

তুমি বিদঘুটে আঁধারে আলো দাও স্মিতহাসি হেসে 

তুমি চপলার ছন্দে নুপুরের গান তুলো নেচেনেচে

তুমি শুধুই রাগ; নও অনুরাগ অনুরাগীর রাগে।


তুমি তোমার অজানা সীমানায় সীমিত ক্যানভাসে

তুমি রবে অসমাপ্ত আত্মজীবনী বলা ছোট্ট গল্পে

তুমি যদি হও ছুঁয়ে চলা বাতাস ছুঁয়ে চলো কারো

তুমি অহংকারের দ্বার ভেঙে হাত কারো ধরো

তুমি শুধুই রবে না তুমি ইতিহাস হবে কারো।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.