কবিতা - আগুন বৃষ্টি মনে

 কবিতা -- আগুন বৃষ্টি মনে

শ্যামল ব্যানার্জী ১৪/০৯/২০২১


ধিকি ধিকি আগুনের বনভূমি 

কখন যে সেঁধিয়ে গেছে 

হৃদয় পার করে 

জ্বালিয়ে দিয়েছে বুকের পাঁজর

নীল সুখ পাখি ডানা ঝাপটানো

 মরেছে অকালে

বৃষ্টিহীন মরুদ্যানে বুঝিনি তখনো।

তবুও কোথাও যেন চোরাবালি ভেজা 

ক্যাকটাস মনে

চুঁইয়ে প'রে নির্জন দ্বীপের একাকিত্ব 

আচমকা বৃষ্টি নামে -

আর তখনই 

সব একাকার হয়ে যায়,

আমি ভিজে যাই গভীর অন্তঃস্থলে

নিস্তব্ধ নিসঙ্গতায়।

এমনি করেই একদিন তোমার সাথে দেখা 

 অর্কিডের মতো 

কাঁচ ঘর থেকে বেড়িয়ে এলে,

আমার পৃথিবী তখন উদাসীন জ্বালামুখী 

আকাশ ভাঙ্গলে আমার

সাত রঙে।

নিরেট শুন্য মনে কবিতার বৃষ্টিধারা হলে তুমি

বাবুই পাখির মতো নরম বুকের ভেতর 

নিলে টেনে, 

আমায় দিলে যত ভালোবাসা 

তোমার বৃষ্টিতে ভিজে শান্ত মন

জড়িয়ে তোমায় হালকা আঁচে 

তোমার চোখের তারায় দেখলাম

পৃথিবীর শান্তির নীড়।

আমার পৃথিবী এখন অন্য রকম 

নিরন্তর বিটোফোনিক রিদম,

মনেতে সবুজ পাহাড় রনডেনড্রন,

কাঁচা রোদ্দুর জড়ায় পলাশ শিমুলের বনে

তোমাকেই খুঁজে পাই, 

মনের ভেতর গ্রহ নক্ষত্র তারায়। 

আমার একতারাটা কুঁড়িয়ে নাও কেন,

তুমি কি আর একটা আগ্নেয়গিরি জ্বালাতে চাও

ঝরা বকুলের বনে।

তুমি কি আমার বৃষ্টিহীন মরুদ্দানে

প্রেমিকা হতে চাও? 

নাকি সো পিস এক অর্কিড?।

মনকে দিয়েছি ছাড়

শিকারী কুকুর হোক আজ,  

বোহেমিয়ান রক্ত নাচুক

মনকে নাচাক খানিক

সীমানা করে ছাড়খার।

কিছু প্রকাশিত ছিলো, 

কিছু অপ্রকাশিত, 

পলাতক রোদ্দুরের মত

মুখ ঢাকা অন্ধকারে, 

একরাশ ইচ্ছে থাকে প'ড়ে। 


অবশেষে প্রেম এলো --

তরুণী লাবণ্যে ভরা,

উন্মুখ নদী চরা তৃষ্ণা মেটায়,

সে এক মেয়ে কখনও হাসায়,

কখনও কাঁদায়। 


অবনমনে তলানো হৃদয় তার হাত ধরে,

গভীর প্রত্যয়ে ভরসা পায়,

তার মনের অলিন্দে বটগাছ ছায়া

পেয়েছি অরণ্য মনে,

হীম শীতল স্নায়ুযুদ্ধ হার মানে তার কাছে।


এরপর, আসমানী চিড়িয়া বুকের ভেতর ডানা ঝাপটায়,

ব্যাকুল করে তোলে তার জাফরানি উষ্ণ ঠোঁট, 

বোহেমিয়ানায় ইস্পাত নীল রাত্রি ফিকে হয়,

সাঁওতালি মাদলের নাচে।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.