অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের এবং প্রতীক সিনহা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের সম্ভব্য তালিকায় ছিলেন।। নোবেল পাওয়া অত্যন্ত গর্বের,, কিন্তু,, নোবেল পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হওয়া কম গর্বের নয়।।
নোবেল শান্তির জন্য বিবেচিত জুবের এবং প্রতীকের মাধ্যমে দেশের ভয়ংকর এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি পৌঁছে গেছে গোটা বিশ্ব দরবারে।।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন গুজব রটিয়ে মব-লিঞ্চিং করে হত্যা করা হয়েছে একের পর এক সংখ্যালঘু,, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে,, গোটা দেশের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া তখন নিশ্চুপ থেকেছে,, অথবা অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে।। যখন পরিকল্পনা করে একের পর এক সংঘটিত দাঙ্গা বাধানো হয়েছে,, তখনো দেশের মিডিয়া ছিলো নিশ্চুপ।।
কিন্তু,, জুবের আর প্রতীক সমস্ত ধরনের অন্ধকার ভেদ করে তুলে ধরেছেন সত্য ঘটনা,, গোটা দেশ তথা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন দেশের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি।। দোষীদের কোনো জাত-ধর্ম না দেখেই তাদের অপরাধ নিয়ে এসেছেন সর্বজন সমক্ষে।।
যে কাজ সরকারের করা উচিত ছিলো,, জুবের-প্রতীক ঠিক সেই কাজটাই করে গেছেন।। সরকার নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে,, জুবের-প্রতীক এড়িয়ে যেতে পারেননি তাঁদের দায়িত্ব।। গোদী মিডিয়া যখন একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে,, তখন প্রতীক-জুবের যুগলবন্দী প্রকাশ্যে এনে দিয়েছেন একের পর এক সত্য ঘটনা।। প্রমাণ করে দিয়েছেন,, সত্য কোনদিন চেপে রাখা সম্ভব না।।
প্রতীক-জুবের প্রত্যেকটি ঘটনার ফ্যাক্ট-চেক করে কাজ করে চলেছেন মানবতার জন্য,, দেশের শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে।। তাঁদের কর্মের মাধ্যমে হাজার হাজার জীবন রক্ষা পেয়েছে।। যখনই কোনো রাজনৈতিক পার্টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গুজব ছড়িয়ে গেছে,, পরক্ষণেই অল্ট নিউজ সেটাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে।।
আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্কে সম্মানিত জায়গা দেওয়া হয়েছে অল্ট-নিউজকে।। যেটা অত্যন্ত সম্মানীয় এবং দেশের জন্য দারুণ গর্বের বিষয়।। এর পর নোবেল পুরস্কারের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়া,, এটাও কিন্তু দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের।।
সত্য উদঘাটনে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন জুবের-প্রতীক এবং তাঁদের টিম।। এজন্য তাঁদের অনেক নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে,, পড়তে হয়েছে সরকারের রোষানলে।। মাত্র কদিদ আগে জুবায়ের বিনা অপরাধে বেশ কিছুদিন জেল খেটে এসেছেন।। সরকার ভাবে এদের দমন-উৎপীড়ন করে থামিয়ে দেওয়া যাবে।। কিন্তু,, জুবের-প্রতীকের মতো দেওয়াল সরকারি বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া যাবে না।।
নোবেল পাওয়া অত্যন্ত গর্বের,, কিন্তু নোবেলের জন্য বিবেচিত হওয়াটাও সামান্য ব্যাপার না।। আমরা প্রতীক- জুবায়েরকে নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।। কিন্তু দেশের বড়ো একটা অংশের হিংস্র মানুষ এটা হজম করতে পারছে না।।
যাদের পেটের দোষ রয়েছে,, হজমের সমস্যা তাদের হবেই।। এটাই স্বাভাবিক ঘটনা।। অমর্ত্য-অভিজিৎ, সত্যার্থীর মতো বেশ কিছু মহান মানুষকেও এরা হজম করতে পারেনি।। সরকারের তাবেদারি না করলে,, সরকারের অনৈতিক কাজ সমর্থন না করলেই একদল মানুষ রে-রে করে এগিয়ে আসে।। দেশের কিছু মহান ব্যাক্তিত্বকে আক্রমণ করতে ছাড়ে না।।
জুবেরের এক ইন্টারভিউ দেখেছি,, উনি বলছেন - "যারা সত্যের জন্য কাজ করে,, সমাজ তাদের বিরোধিতা করবে,, এটাই মানুষের চরিত্র,, এটাই হয়ে এসেছে যুগে যুগছ।। আমরা বললো- প্রতীক-জুবের,, আপনারা এগিয়ে চলুন,, ঠিক যেভাবে এগিয়ে চলেছেন সেই ভাবেই।। পুরস্কারের তোয়াক্কা করতে হবে না,, বরং ভবিষ্যতে বহু পুরস্কার আপনাদের স্পর্শ করে,, নিজেকে ধন্য মনে করবে।।
অনেক শুভেচ্ছা,, ভালোবাসা নেবেন।। নোবেল শান্তির জন্য বিবেচিত হয়েছেন,, আমরা গর্বিত-আনন্দিত।। আপনাদের অন্তরের অন্তস্থল হতে অভিনন্দন জানালাম।।
collected from ©আলম মিদ্দে