2004 সালে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়ায়,, সরকার গড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছে যায়।। পরাজিত হয় তৎকালীন বিজেপি সরকার,, অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপি ধরাশায়ী হয়ে পড়ে।।
তৎকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদের একমাত্র দাবীদার ছিলেন সোনিয়া গান্ধী।। দেশের সিংহভাগ মানুষ নিশ্চিত ছিলেন,, প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন সোনিয়া।।
বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ সাংসদ হিসাবে জিতে এসেছেন,, তিনি বললেন - সোনিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি সংসদ ভবনে পা রাখবেন না।। কারণ,, বিদেশি বংশোদ্ভূত কোনো মহিলাকে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করতে পারবেন না।।
এছাড়া তিনি আরো বলেন -সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে,, তিনি নিজের মাথা ন্যাড়া করে ফেলবেন।। আজীবন সাদা কাপড় (বিধবা) পরবেন।। সন্যাসীর মতো মাটিতে ঘুমাবেন,, কেবলমাত্র ডাল-রুটি খাবেন।।
সোনিয়া গান্ধী বিদেশিনী,, এই অভিযোগ তুলে তৎকালীন সময়ে শারদ পাওয়ার সহ বেশকিছু নেতা বেঁকে বসেন।। সোনিয়া বিচক্ষণতার পরিচয় দিলেন,, অহেতুক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিলেন না।। নিজে প্রধানমন্ত্রী না হয়ে মনমোহন সিং-কে আসন ছেড়ে দিলেন।।
ঋষি শুনক একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত,, যিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।। বৃটেনের কোনো নেতা তাঁর জন্ম এবং বংশ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি।। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাও বিরোধিতা করেননি।।
কেউ বলেননি - "ঋষি প্রধানমন্ত্রী হলে ন্যাড়া হবো,, মাটিতে ঘুমাবো,, পাদ্রী অথবা নান হয়ে যাবো।।"
ভারতীয় সভ্যতা এবং সংস্কৃতি আপন করে নেওয়া একজন বিদেশি বংশোদ্ভূত মহিলাকে যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে রাজী নন,, তারাই আবার ঋষি শুনক-কে নিয়ে গালভরা প্রবচন দিয়ে চলেছেন।।
যাইহোক,,
ঋষি বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন,, একটা বিষয় পরিস্কার হয়ে গেলো যে,, চিরদিন কারো প্রভুত্ব চলতে পারে না।।
যারা দিনরাত এক সম্প্রদায়ের মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে,, যারা এক সম্প্রদায়ের মানুষকে নীচ প্রমাণ করতে মরিয়া,, তাদের জন্য চূড়ান্ত বার্তা - সংখ্যাধিক্য নয়,, বরং সভ্য সমাজ যোগ্যতার মর্যাদা দিয়ে থাকে।।
বৃটেনের মানুষ অসভ্য নয়।। অসভ্য হলে তারা বিরোধিতা করে,, মাথা মুড়িয়ে রাস্তায় নেমে পড়তো।।
সমস্ত দেশকে আজকের বৃটেন হতে হবে।। কিন্তু,, বর্তমান সময়েও আমরা অতীতের জার্মানির মতো রয়ে গেছি।। এটা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যের!!
collected from © আলম মিদ্দে
😢😢😢