রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস সভাপতির পদ প্রত্যাখ্যান

 রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ প্রত্যাখ্যান করে বেশ কিছু মানুষের মুখে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন,, যারা কথায় কথায় পরিবারবাদের বিলাপ করে থাকেন।।

বিলাপ তারাও করেন যারা বাপের পরিচয় সূত্রের উপর ভিত্তি করে সর্বভারতীয় অথবা কোনো রাজ্যের ক্রিকেট প্রশাসনের মগডালে বসে রয়েছেন।। যারা বাপের নাম ভাঙ্গিয়ে বিধায়ক,, সাংসদ,, বিভিন্ন মন্ত্রীত্বের পদ অলঙ্কৃত করে রয়েছেন।।

পিতৃ-পরিচয়ে পরিচিত এই সমস্ত মানুষ এখন বলছেন - কংগ্রেস সভাপতি যিনিই হোন না কেনো,, রিমোট থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতেই।।

কিন্তু সত্যিটা হলো যে,, স্বয়ং বিলাপ-কারী পার্টির সভাপতির রিমোট রয়েছে অন্যের হাতে।। বিশ্বের সর্ববৃহৎ পার্টির সভাপতি স্বেচ্ছায় কোনো ডিসিশন নেওয়া তো দুরের কথা,, প্রস্রাব-পায়খানা পর্যন্ত অন্যের ইশারায় করে থাকেন।। করতে বাধ্য হয়ে পড়েন।। ওনার হিম্মত নেই,, নিজের ইচ্ছায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার।।

"ভারত জোড়ো" যাত্রার কারনে কংগ্রেস দল কতটুকু উপকৃত হবে সেটা ভবিষ্যতে জানা যাবে,, কিন্তু,, 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এখনকার থেকে ভালো রেজাল্ট করতে পারে,, এটা বলতে কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক হবার প্রয়োজন পড়ে না।।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বর্তমান ঘটনাক্রম হতে আভাস পাওয়া যাচ্ছে,, বিজেপি পুনরায় দেশের মসনদে আসীন হতে চলেছে।।

দেশের গোদী মিডিয়া রাহুল গান্ধীর "ভারত জোড়ো যাত্রা" বয়কট করে প্রমাণ করে দিয়েছে যে,, বর্তমানে ভারতীয় মিডিয়া গণতান্ত্রের উপর ন্যূনতম বিশ্বাস রাখে না।। মিডিয়া বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের খলনায়ক প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগে রয়েছে।। চলছে ওয়ান-ম্যান-শো।।

রাহুল এখনো পর্যন্ত সাদা টি-শার্ট পরেই ঘুরে চলেছেন।। হতে পারে তাঁর কাছে সমমানের এবং সমান দেখতে একাধিক সাদা টি-শার্ট রয়েছে।। কিন্তু,, রাহুলের পরিবর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদযাত্রা করলে নির্ঘাত প্রতিদিন 13 বার ড্রেস চেঞ্জ করে নিতেন।।

চলতো হাজার নাটক,,ড্রেস-চেঞ্জ আর মেকআপ করতে কেটে যেতো দিনের বেশীরভাগ সময়।। তবুও মিডিয়া মৌমাছির মতো ঘুরে বেড়াতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগেপিছে।। মিডিয়ায় সারাদিন চলতো লাইভ-টেলিকাস্ট।।

রাহুল গান্ধীর এই যাত্রা তাঁর দলকে কতটুকু সাফল্য এনে দেবে,, সেটা কেবলমাত্র ভবিষ্যৎ বলতে পারবে।। কিন্তু তাঁর এই বৃহত্তম প্রয়াস,, প্রচেষ্টা এবং আন্তরিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না।।

অন্যদিকে,, মিডিয়াকে গণতন্ত্রের প্রহরী বলা হয়ে থাকে।। প্রত্যেক দেশের মিডিয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে এবং সরকারের বিপক্ষে কথা বলে থাকে।। মিডিয়ার দায়িত্ব হলো,, জনগণের সমস্যা সরকারের সামনে তুলে ধরা।।

কিন্তু,, বর্তমানে ভারতীয় মিডিয়া সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়ার কাজে নিয়জিত।। আজকের মিডিয়া আগামী দিনে ইতিহাসের পাতায় গণতন্ত্র ধর্ষণকারী এবং সরকারের পোষা কুকুর হিসেবে বিবেচিত হবে।।

এটা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকছে না !!

👍👍👍

 

 copy from আলম মিদ্দে

Blogger দ্বারা পরিচালিত.