প্রেমের কথকতা

 প্রেমের কথকতা

 সাবেরা সুলতানা সুমী


ভোরের স্নিগ্ধতায় ভেজা চুলের রমণীর সৌন্দর্যের মধ্যে খুঁজে নিও সুখ তুমি ।

সোনালী আলোটা হুতোম পেঁচার মতোই 

উত্তরের জানালায় বিস্ময় নিয়ে দেখবে তোমায়!


এক টুকরো সতেজ হাসি মেখে অবাক হয়ে 

এক কাপ চা হাতে এলোচুলে দাঁড়িয়ে আছি ।

পাখি গান গেয়ে ক্লান্ত হবে ফিঙে তার সংসারের ঝগড়া ভুলে যাবে আমাদের ভালোবাসার 

 ভুবন দেখেই হবে বিস্মিত !! 


কাকটাও অবাক চোখে দেখে কা কা রব বন্ধ করে ভালোবাসার দোলাচলে দুলবে।

আমার পানে মুগ্ধ হয়ে দৈনিক বাজার খরচের 

কবিতা না ,শুনতে চাইবে মধুকন্ঠে গান ।

তোমার ছ'ফিট ছায়ার সঙ্গেই পাঁচ ফিট তিনের

সমীকরণটা মিলিয়ে নিও ।


তারপর না হয় ক্লান্তির গান গেয়ে মস্তিষ্কের 

অলস টেলিভিশন কেন্দ্রে দুজনের পানি নয়

ঠোঁটে ঠোঁটে ভালোবাসা পান করার দৃশ্য দেখব।


সূর্যের ঝলকানিতে একঝাঁক সাদা বকেরা 

আহার কুড়িয়ে শামুকের ঘাটতি পূরণ করবে 

অন্য কিছুতেই খুঁজে নেবে হয়তো ঝিনুক !

শোন ,তোমার ফোনের অপেক্ষা করতে হবে না

আমিই করবো যেন জলদি বাসায় ফিরো তুমি! 


হাতে একগুচ্ছ বেলীফুলের মালা দিয়ে বলবে 

"আজও বড্ড ভালোবাসি প্রথম দিনেরমতোই।" 

তোমার পছন্দের খাবারটাই রান্না করেছি আমি 

খুব বেশি চাওয়া নেই আমার ও ।


সন্ধ্যায় নীড়ে ফেরা পাখির মতোই ,

ডানা ভাঙা সঙ্গীটির ঠোঁটে আহার তুলে দেয় 

কি যে মমতায় তেমনই চাইবো আমি ও।

তোমার কোলে মাথা রেখে দেখবো 

চিরচেনা মধ্যবিত্ত সুনীল আকাশটা আমার ।


বেশি কিছু চাইব না গো !

জোনাকিরা যখন রাতের কোলাহল ডিঙিয়ে ,

নিশাচর কবির কাব্যিক জগতের পৃথিবীর 

আলোর বিস্ফোরণ ঘটাবে ঠিক তখনই ,

আমার দীঘলকেশে মায়ার হাত বুলিয়ে 

আদরের আতিশয্যে নীচে নেমে এসে ;

নাভীমূলে এঁকে দিও ভালোবাসার আল্পনা ।


আদম ঈভের মতো মাতবো আদিমতায় 

ছুঁয়ে যাবে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভালোবাসার বীজ।


অপেক্ষায় একটা দেবশিশুর নিষ্পাপ ছোঁয়া।

ওর কাছে শিখবো ভালোবাসার নতুন অধ্যায়।

বলো দেবো তো এমন সুখমাখা একটি ঘর?

Blogger দ্বারা পরিচালিত.