শতাব্দী গেছে, বেলা পড়ে গেছে;
হৃদয়ে ধুলো জমে, সেকেন্ড শেষ;
নীলচে তোমার কাজল-কালো কেশ;
মাথা থেকে পা পর্যন্ত, শুধু অপেক্ষা;
নৃশংস আত্মহত্যায় দিয়েছে আমায় দীক্ষা;
চেরাকে কেরোসিন ফুরায়;
কুপিতে আগুন ধরায়,
চোখ জ্বালিয়ে দেখো..?
মন পুড়িয়ে চাও..?
প্রাচীরে শ্যাওলা জমে, না পাওয়ার;
ছাই হয়ে গেছে, পুড়িয়ে আকাশ ছেড়েছে
সেই ছাই গায়ে মেখে হয়েছি পাথর;
অপেক্ষাকৃত আমি, বেডে শুয়ে আগাছাযুক্ত আসর;
হৃদয় প্রাচীরে জড়ানো তুমি নামক দোসর।
হৃদয় প্রাচীরে ঝিঝি পোকা কান্দে;
তোমার না আসার খুশিতে তারা বাসা বান্দে;
তাদের তো দাতঁ নেই, তবু হৃদয়ে প্রচুর কাটে;
যদি একবার এসে ধরা দিতে.!
তারা শেষ হতো, তাদের বংশ নির্বংশ হতো।
তাদের বদলে জোনাকি আসতো;
মিটিমিটি আলো জ্বালিয়ে তোমায় দেখতো;
হৃদয় প্রাচীর তখনই আলোকিত।
এই প্রাচীন প্রাচীরে কত কিছুরই আগমন;
দেয়ালে দেয়ালে কথা বন্দী, কত স্বপ্ন বোনা;
তোমায় ঘিরে প্রেমের সঞ্চারণ;
অসুখে গা পুড়ে, জ্বর হয়েছে ভীষণ;
হৃদয় হরণে জীবন ধংস, চলছে তা আমরণ।
প্রাচীন প্রাচীরে করেছি দাওয়াত;
আর এসো না, করছি তোমায় মানা;
এই প্রাচীরে রক্তে রঞ্জিত জলপ্রপাত;