শিক্ষনীয় গল্পঃ গল্পের বিষয়বস্তু হলো আযানের জবাব দেওয়া
আযানের জবাব
লেখক মোঃরাসেল বিন আবু তালেব
একটুপরেই আসরের আযান হবে।কামরুজ্জামান নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে রওনা দিলেন।ঠিক পাঁচ মিনিটের পথছিলো। পাঁচ মিনিট পর সে মসজিদে পৌঁছালো।সে মসজিদে পৌঁছানোর পর পরেই মুয়াজ্জিন আযান দেওয়ার জন্য মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করলো।
তবে মসজিদে আযান শুরুর আগে থেকেই কয়েকজন মুরব্বি মসজিদের ভিতরে বসেছিল এবং তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করতেছিলো।
একদিকে মুয়াজ্জিন আযান দেওয়া শুরু করলেন।ততক্ষণে কামরুজ্জামানের অজু শেষ হয়েছে এবং সে মসজিদে প্রবেশ করলো।
সে আযানের জবাব দিতে লাগলো।কিন্তু সে লক্ষ্য করলো যে,মসজিদের ভিতরে কয়েকজন মুরব্বি আযানের জবাব না দিয়ে দুনিয়াবি গল্পে মেতে উঠেছে।কামরুজ্জামান আযানের জবাব শেষ করলেন এবং মুরব্বিদের কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বসে পড়লেন।
তিনি মুরব্বিদের বললেন, চাচা আপনারা আযানের সময় আযানের জবাব না দিয়ে গল্প করতেছেন কেনো?
এটা তো ঠিক কাজ নয়।আযানের সময় অবশ্যই আযানের জবাব দিতে হবে।
এরপর কামরুজ্জামান আযানের জবাব দেওয়া সম্পর্কে একটি হাদিস বললেন। হাদিস টি হচ্ছে --
"রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন
“যে ব্যক্তি খালেস অন্তরে আযানের জবাব দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়”।
------[সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮৫]।
এই হাদিসটি কামরুজ্জামান মুরব্বিদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বললেন এবং মুরব্বিরা হাদিস টি ভালো ভাবে বুঝতে পারলেন। এরপর থেকে তারা সবাই আযানের সময় সঠিক ভাবে আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ত করলেন।